বাড়ার সময় ব্যথায় ভয় নেই
<div class="row">
<a class="ml-3" href="http://thedoctorsdialogue.com/growing-pain/">http://thedoctorsdialogue.com/growing-pain/</a>
<div class="row ml-3">
<br/><br/>
ডা ঘটক: কেমন আছ ?
<br/>
অভ্রদীপ: ভাল না, ডাক্তার কাকু।
<br/>
ডা ঘটক: কেন তোমায়তো দেখে সুস্থ ই লাগছে। কি হল?
<br/>
অভ্রদীপ: হ্যাঁ কাকু এখন তেমন কোন অসুবিধা নেই কিন্ত গত এক মাস ধরে মাঝে মাঝেই রাতের বেলা দু পায়ে ভীষণ ব্যথা করে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ত হয়েই যায়। শুরু হলে প্রায় আধ ঘন্টা থেকে দু ঘন্টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
<br/>
ডা ঘটক: পায়ের কোন অংশ টায় ব্যথা হয়?
<br/>
অভ্রদীপ: দু পায়েই হাঁটুর উপর আর নিচের অংশে পায়ের মাংস পেশিগুলোতেই ব্যথাটা হয়। গাঁটে ব্যথা একদমই হয় না।
<br/>
ডা ঘটক: ব্যথাটা কি দিন দিন বাড়ছে মনে হচ্ছে?
<br/>
অভ্রদীপ: তেমন তো না, একমাস আগে ব্যথা যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে।
<br/>
ডা ঘটক: সকালে উঠে কি কোন অসুবিধে বুঝতে পার?
<br/>
অভ্রদীপ : না না কোন অসুবিধেই হয় না। স্কুলে গিয়ে ছোটাছোটি করলেও কোন অসুবিধেই হয় না। সকালে উঠে পুরোই স্বাভাবিক হয়ে যাই।
<br/>
ডা ঘটক: আচ্ছা তুমি কোথাও পড়ে চোট পাওনি তো?
<br/>
অভ্রদীপ : না কাকু তেমন তো মনে পড়ছে না।
<br/>
ডা ঘটক: আচ্ছা তোমার কি কিছু দিন ধরে খিদে ও ওজন কমে যাওয়া, খুব দুর্বল লাগা, জ্বর আসা চামড়ায় কিছু বেরোনো, কোন গাঁট ব্যথা করা, লাল হওয়া ফুলে যাওয়া, ইত্যাদি কোন সমস্যা হচ্ছে?
<br/>
অভ্রদীপ: না কাকু, একদমই না। কাকু এটা কি কোন বড় অসুখ?
<br/>
ডা ঘটক: একদমই সেরকম কিছু না। তুমি যে লক্ষণগুলো বলছো তাতে গ্রোয়িং পেইন বলেই মনে হচ্ছে এটা।
<br/>
অভ্রদীপ: এটা কি খুব আনকমন কোন রোগ?
<br/>
ডা ঘটক: না না, তোমার মত চার থেকে বার বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের দশ থেকে কুড়ি শতাংশই এই সমস্যায় ভোগে।
<br/>
অভ্রদীপ: এই গ্রোয়িং পেনের কারণ কি?
<br/>
ডা ঘটক: কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়। এ সম্পর্কে নানান হাইপোথিসিস আছে।
প্রথমতঃ এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি খুব বেশি করার কারণে মাংসপেশিগুলো চাপের মুখে পড়ে। তাই কখনো কখনো দিনের শেষে এমন হলে হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ যন্ত্রণা সহ্য করার মাত্রা ( পেইন থ্রেসহোল্ড) কোন কোন ছেলে মেয়েদের কম থাকে তারা এই গ্রোয়িং পেইনের বেশি শিকার হয়। গ্রোয়িং পেইনের সাথে অন্যান্য যন্ত্রণা যেমন মাথাব্যথা ও পেটের যন্ত্রনাও তাদের বেশি হয়।
তৃতীয়তঃ বোন ডেনসিটি কম হওয়ার কারণেও এই যন্ত্রণার প্রবণতা বাড়তে পারে।
চতুর্থতঃ অনেকেরই পায়ে অনেক গঠনগত সমস্যা থাকে,যেমন ফ্লাটফুট , নক নি, পিঠের স্কোলিওসিস । এর ফলে যখন ছেলেমেয়েরা বেশি ছোটাছুটি করে তখন একটি বিশেষ গ্রুপের মাংসপেশীতে চাপ পড়েও এমনটা হতে পারে।
পঞ্চমতঃ মানসিক চাপ এবং পারিবারিক অশান্তির সাথেও এই যন্ত্রণার সম্প্রক আছে।
<br/>
অভ্রদীপ: কাকু কিছু রক্ত পরীক্ষা বা এক্সরে করার কি প্রয়োজন আছে?
<br/>
ডা ঘটক: না না। গ্রোয়িং পেইনের জন্য সেভাবে কোন পরীক্ষার প্রয়োজন নেই । ভিটামিন -ডি এর অভাবজনিত কারণে আমাদের এখানে অনেক মানুষ ভোগেন । এই ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা প্রকট হতে পারে। তাই সুযোগ থাকলে রক্তে এই ভিটামিনের লেভেলটি দেখে নেওয়া যেতে পারে ।
<br/>
অভ্রদীপ: কাকু যখন এরকম খুব ব্যথা করে তখন কি করবো তাহলে?
<br/>
ডা ঘটক: মাকে বলবে একটু পাগুলো মালিশ করে দিতে আর সম্ভব হলে একটু গরম সেঁক নেবে। এরপরও যদি ব্যথা না কমে তাহলে প্যারাসিটামল অথবা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথার ওষুধ একটু খেলে খেতে পার। তাছাড়াও শোয়ার আগে যদি হালকা হাতসোয়া গরম জলে চান করো অথবা পা মুছে নাও ভালো হয় । স্কুলে স্পোর্টস ডে তে সম্ভব হলে স্পোর্টস শু পরে যেও। বাবা মাকে বলছি এটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করতে, এর থেকে কোনো ক্ষতি হবে না । ১২-১৩ বছর বয়সে এটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।
</div>
</div>
বাড়ার সময় ব্যথায় ভয় নেই
ডা ঘটক: কেমন আছ ?
অভ্রদীপ: ভাল না, ডাক্তার কাকু।
ডা ঘটক: কেন তোমায়তো দেখে সুস্থ ই লাগছে। কি হল?
অভ্রদীপ: হ্যাঁ কাকু এখন তেমন কোন অসুবিধা নেই কিন্ত গত এক মাস ধরে মাঝে মাঝেই রাতের বেলা দু পায়ে ভীষণ ব্যথা করে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ত হয়েই যায়। শুরু হলে প্রায় আধ ঘন্টা থেকে দু ঘন্টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
ডা ঘটক: পায়ের কোন অংশ টায় ব্যথা হয়?
অভ্রদীপ: দু পায়েই হাঁটুর উপর আর নিচের অংশে পায়ের মাংস পেশিগুলোতেই ব্যথাটা হয়। গাঁটে ব্যথা একদমই হয় না।
ডা ঘটক: ব্যথাটা কি দিন দিন বাড়ছে মনে হচ্ছে?
অভ্রদীপ: তেমন তো না, একমাস আগে ব্যথা যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে।
ডা ঘটক: সকালে উঠে কি কোন অসুবিধে বুঝতে পার?
অভ্রদীপ : না না কোন অসুবিধেই হয় না। স্কুলে গিয়ে ছোটাছোটি করলেও কোন অসুবিধেই হয় না। সকালে উঠে পুরোই স্বাভাবিক হয়ে যাই।
ডা ঘটক: আচ্ছা তুমি কোথাও পড়ে চোট পাওনি তো?
অভ্রদীপ : না কাকু তেমন তো মনে পড়ছে না।
ডা ঘটক: আচ্ছা তোমার কি কিছু দিন ধরে খিদে ও ওজন কমে যাওয়া, খুব দুর্বল লাগা, জ্বর আসা চামড়ায় কিছু বেরোনো, কোন গাঁট ব্যথা করা, লাল হওয়া ফুলে যাওয়া, ইত্যাদি কোন সমস্যা হচ্ছে?
অভ্রদীপ: না কাকু, একদমই না। কাকু এটা কি কোন বড় অসুখ?
ডা ঘটক: একদমই সেরকম কিছু না। তুমি যে লক্ষণগুলো বলছো তাতে গ্রোয়িং পেইন বলেই মনে হচ্ছে এটা।
অভ্রদীপ: এটা কি খুব আনকমন কোন রোগ?
ডা ঘটক: না না, তোমার মত চার থেকে বার বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের দশ থেকে কুড়ি শতাংশই এই সমস্যায় ভোগে।
অভ্রদীপ: এই গ্রোয়িং পেনের কারণ কি?
ডা ঘটক: কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়। এ সম্পর্কে নানান হাইপোথিসিস আছে।
প্রথমতঃ এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি খুব বেশি করার কারণে মাংসপেশিগুলো চাপের মুখে পড়ে। তাই কখনো কখনো দিনের শেষে এমন হলে হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ যন্ত্রণা সহ্য করার মাত্রা ( পেইন থ্রেসহোল্ড) কোন কোন ছেলে মেয়েদের কম থাকে তারা এই গ্রোয়িং পেইনের বেশি শিকার হয়। গ্রোয়িং পেইনের সাথে অন্যান্য যন্ত্রণা যেমন মাথাব্যথা ও পেটের যন্ত্রনাও তাদের বেশি হয়।
তৃতীয়তঃ বোন ডেনসিটি কম হওয়ার কারণেও এই যন্ত্রণার প্রবণতা বাড়তে পারে।
চতুর্থতঃ অনেকেরই পায়ে অনেক গঠনগত সমস্যা থাকে,যেমন ফ্লাটফুট , নক নি, পিঠের স্কোলিওসিস । এর ফলে যখন ছেলেমেয়েরা বেশি ছোটাছুটি করে তখন একটি বিশেষ গ্রুপের মাংসপেশীতে চাপ পড়েও এমনটা হতে পারে।
পঞ্চমতঃ মানসিক চাপ এবং পারিবারিক অশান্তির সাথেও এই যন্ত্রণার সম্প্রক আছে।
অভ্রদীপ: কাকু কিছু রক্ত পরীক্ষা বা এক্সরে করার কি প্রয়োজন আছে?
ডা ঘটক: না না। গ্রোয়িং পেইনের জন্য সেভাবে কোন পরীক্ষার প্রয়োজন নেই । ভিটামিন -ডি এর অভাবজনিত কারণে আমাদের এখানে অনেক মানুষ ভোগেন । এই ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা প্রকট হতে পারে। তাই সুযোগ থাকলে রক্তে এই ভিটামিনের লেভেলটি দেখে নেওয়া যেতে পারে ।
অভ্রদীপ: কাকু যখন এরকম খুব ব্যথা করে তখন কি করবো তাহলে?
ডা ঘটক: মাকে বলবে একটু পাগুলো মালিশ করে দিতে আর সম্ভব হলে একটু গরম সেঁক নেবে। এরপরও যদি ব্যথা না কমে তাহলে প্যারাসিটামল অথবা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথার ওষুধ একটু খেলে খেতে পার। তাছাড়াও শোয়ার আগে যদি হালকা হাতসোয়া গরম জলে চান করো অথবা পা মুছে নাও ভালো হয় । স্কুলে স্পোর্টস ডে তে সম্ভব হলে স্পোর্টস শু পরে যেও। বাবা মাকে বলছি এটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করতে, এর থেকে কোনো ক্ষতি হবে না । ১২-১৩ বছর বয়সে এটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।